উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী গুচ্ছগ্রাম (সিভিআরপি) প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় ঘর তৈরি করে ভূমিহীন নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছগ্রামের আওতায় গৃহহীনদের জন্য গ্রোথ সেন্টার নির্মাণ, সুপেয় পানির জন্য নলকূপ স্থাপন, পুকুর খননসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায়, ১ নং আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে একই প্রকল্পের আওতায় গুচ্ছগ্রাম স্থাপন করে এলাকার দুঃস্থ অসহায় অসচ্ছল ও হতদরিদ্র ১২০ টি পরিবারকে পূনর্বাসনের জন্য প্রকল্প হতে নিয়েছে। নিয়মানুযায়ী যে সব এলাকার খাস ভূমি পাওয়া যাবে, সে সব এলাকায় এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। নুতবা ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এ প্রক্ষিতে গত বুধবার ১ নং আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিরাট গ্রামের মির্জাপুর মৌজার শরীফউদ্দিন সড়কের অদূরে এলাকাবাসীর একটি গোচারণভূমিতে গুচ্ছগ্রাম স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। একই দিন অনুমানিক ৫ একর জায়গা চিহ্নিত করে নিশান টানিয়ে দেন তারা। এতে প্রশাসনের সহিত এলাকার কৃষকদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। তারা টানিয়ে দেয়া নিশান উপড়ে ফেলে দেয়। কৃষকরা জানায়, গুচ্ছগ্রামের জন্য নির্ধারিত মাঠটি এলাকার ৫ শতাধিক কৃষকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের একমাত্র গোচারণভূমি। এ ছাড়া তারা মৌসুমে ধান কেটে ওই মাঠে এনে স্তুপ করে রাখে, ধান মাড়াই, ধান শুকানো, খড় শুকানো, ধান সিদ্ধ করা সহ নানা ধরণের গৃহস্থালি কাজ করে থাকে। এলাকার তরুণ ও যুবসম্প্রদায় ওই মাঠে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার আয়োজন করে থাকে। এ ছাড়া এলাকায় এর বিকল্প কোন মাঠ নেই। তাই নির্ধারিত মাঠটিতে কোন ভাবেই গুচ্ছগ্রাম হতে দেবে না বলে অঙ্গীকার করেন কৃষকরা । তারা গুচ্ছগ্রামের অন্যত্র নির্ধারণের দাবি জানান।
আজমিরীগঞ্জে খেলার মাঠ ও গোচারণভূমি রক্ষার পাশাপাশি গুচ্ছগ্রাম অন্যত্র স্থানান্তরের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান
প্রকাশিত হয়েছেঃ অক্টোবর ১০, ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধি : আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিরাট ভাটিপাড়া গ্রামের অদূরে খেলার মাঠ ও গোচারণভূমিতে গুচ্ছগ্রাম স্থাপনের স্থান নির্ধারণ করেছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন। খেলার মাঠ ও গোচারণভূমি রক্ষার পাশাপাশি গুচ্ছগ্রাম অন্যত্র স্থানান্তরের দাবিতে এলাকার প্রায় দুই শতাধিক কৃষকের উপস্থিতিতে গতকাল সোমবার দুপুর অনুমানিক ১ টায় মাননীয় জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কৃষকরা খেলার মাঠ ও গোচারণভূমি যে কোন মূল্যে রক্ষা করবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।