আজমিরীগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় গোচারণভূমিতে গুচ্ছগ্রামের ভিটা নির্মাণকাজ শুরুর সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি

১নং আজমিরীগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল হোসেন মোবারুল অনুপস্থিত থাকায় ও কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারায় বিরাট মির্জাপুর মৌজার গোচারণভূমিতে গুচ্ছগ্রামের ভিটা নির্মাণকাজ গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত শুরু করা যায়নি। 

গত বৃহস্পতিবার এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ ১০ জনের একটি নামের তালিকা করা হয়। তারা গ্রামের লোকজনের সহিত আলোচনা করে এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩ টায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়। 

কিন্তু সদর ইউপি চেয়ারম্যান অন্যত্র চলে যাওয়ায় গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। একই দিন বিকাল অনুমানিক ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা সালেহা সুমি, সহকারী কমিশনার ( ভূমি)  মোঃ শফিকুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী ঘটনাস্হলে গিয়ে উপস্থিত লোকজনের সহিত আলোচনা করে জটিলতা নিরসনের চেষ্টা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা সালেহা সুমি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন মোবারুল বাড়ি আসলে, চেয়ারম্যান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সহিত আলোচনা সাপেক্ষে ইউপি চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়েই আমরা গুচ্ছগ্রামের কাজ শুরু করব। 

উল্লেখ্য,

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অনুমানিক ৯ টায় গুচ্ছগ্রামের ভিটা নির্মাণে একটি এক্সেভেটর নিয়ে আসে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এক্সেভেটর দেখে আশপাশের গ্রামগুলোর শত শত জনতা এসে ভিটা নির্মাণ করতে চালককে বাঁধা প্রদান করে। খবর পেয়ে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা সালেহা সুমি, সহকারী কমিশনার ( ভূমি)  শফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী ও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর নেতৃত্বে একটি পুলিশের টিম। শত শত জনতার অব্যাহত বাঁধার মূখে সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, উক্ত স্থানে ১৬ একর ২৮ শতক সরকারি ভূমি রয়েছে। গুচ্ছগ্রামের জন্য ৪ একর জায়গার প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। পর এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ ১০ জনের একটি নামের তালিকা করা হয়। তারা গ্রামের লোকজনের সহিত আলোচনা করে এ বিষয়ে আজ শুক্রবার সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়। এ ছাড়া ভিটা নির্মাণে আসা এক্সেভেটরটি ইউ পি সদস্য মোঃ সুফল মিয়ার জিম্মায় রাখা হয়।

অপরদিকে  এলাকার লোকজন জানায়, ওই মাঠটি একটি গোচারণভূমি। এলাকার লোকজন তাদের গৃহপালিত গবাদিপশুকে ঘাস খাওয়ার জন্য ওই মাঠে ছেড়ে দেয়। এ ছাড়া মৌসুমে কৃষিজমির ধান কেটে ওই মাঠে এনে মাড়াই দেয়া, ধান শুকানো ধান সিদ্ধ করা সহ নানা ধরণের গৃহস্থালি কাজ করে থাকে কৃষকরা। পাশাপাশি ওই মাঠে এলাকার তরুণ ও যুবসম্প্রদায় ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার আয়োজন করে থাকে। তাই ওই মাঠে গুচ্ছগ্রাম স্থাপন করা হলে, মারাত্মক অসুবিধার সম্মূখীন হতে হবে এলাকার ৫ শতাধিক কৃষক পরিবার। তাই গুচ্ছগ্রাম স্থাপনের জায়গাটি গ্রামবাসীর গোচারণভূমি থেকে অন্যত্র স্থাপনের দাবি জানান গ্রামবাসী। 

এ ছাড়াও গ্রামের লোকজনের পক্ষ থেকে কয়েকদিন পূর্বে মাননীয় জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের পাশাপাশি সিলেটের  মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ( ভূমি) বরাবরে অনুলিপি দেয়া হয়


শেয়ার করুন