খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের জলমহাল খননের নাম করে কোদালিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সুনামগঞ্জ , শাল্লা, আজমিরীগঞ্জ ও জলসুখা আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রতি ঘনফুট ১০থেকে১২ টাকা দরে বালু বিক্রি করছে জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামের সাবেক মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি মোঃ শাহজাহান মিয়াসহ আরও কয়েকজন প্রভাবশালী লোক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ লম্বা পাইপটেনে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আরেকটি নৌকার মধ্যে বালু রেখে দুটানাভাবে সুনামগঞ্জ, শাল্লা, আজমিরীগঞ্জ ও জলসুখা আঞ্চলিক মহাসড়কে বালু বিক্রি করছে।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, শাহজাহান মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে জলমহাল লিজ এনে ব্যাবহার করছে। জলমহালটির গভীরতা কমে যাওয়ার ফলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন করেন। এই আবেদনর প্রেক্ষীতে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রভাবশালীদের নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে। নদী খনন আইনে জানা যায় নদীর গভীরতা কমে গেলে নদী খনন করা যায় তবে খননকৃত বালু অন্যত্র বিক্রি করা নিষেধ রয়েছে । এক সূত্রে জানা যায়, সিন্ডিকেটের একদল আবেদনের অনুমতি দিতে পায়তারা করছে তাও আাবার টাকার বিনিময়ে। শাহজাহান গং এর এক সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করলে জানায়, তাদের হবিগঞ্জ আজমিরীগঞ্জ সব জায়গায় আইনি কাজ শেষ করেই বালু উত্তোলন ও বিক্রি করবে বলে ড্রেজার বসানো হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান তাদের খননের অনুমোদন রয়েছে বিক্রির অনুমোদনের আছে কি না তা জানি না। আমি দেখে আইনত ব্যবস্থা নিব। এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রভাবশালীদের কারণে কেউ মুখ খুলছে না। তাই সবাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন ।