মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷
এ ঘটনায় উক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন অভিভাবক প্রতিনিধি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে ২১ অক্টোবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ অভিযোগ দায়েরকারী গভর্নিং বডির সদস্য ফরহাদ আহমেদ, মোঃ আব্দুল্লাহ মিয়া ও বদরুজ্জামান চৌধুরী স্বাধীন, তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিগত ৩ জানুয়ারি তাহারা ইমাম বাড়ী রাজরাণী সুভাষিণী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হন, তাহারা দায়ীত্বভার গ্রহনের পর বিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা উনুষ্টিত হয়৷ সভায় ২০২২ সালের অর্থ বছরের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে হিসাব চাওয়া হয়, প্রধান শিক্ষক এতে উত্তেজিত হয়ে হিসাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন৷ ২০২২ সাল অর্থ বছরে নির্ধারিত ফি এর চেয়ে তিনি মনগড়াভাবে ফি আদায় করেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে৷
বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীতে ১৪৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন,এতে জনপ্রতি ফি নেওয়া হয়েছে ১ হাজার টাকা ফাইনাল পরিক্ষার ফি নেওয়া হয়েছে ৩শত টাকা করে,৭ম শ্রেণীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২২ জন, ভর্তির ফি নেওয়া হয়েছে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা, ফাইনাল পরিক্ষার ফি নেওয়া হয়েছে ৩ শত টাকা, ৮ম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ১৩০ জন, ভর্তির ফি নেওয়া হয়েছে জনপ্রতি ১২শত টাকা, ফাইনাল পরিক্ষার ফি ৪শত টাকা , ৯ম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ১৫৩ জন ভর্তির ফি বাবদ নেওয়া হয়েছে জনপ্রতি ১২ শত টাকা,ফাইনাল পরিক্ষার ফি বাবদ নেওয়া হয়েছে ৪শত টাকা, ১০ম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ১৪১ জন ভর্তির ফি বাবদ নেওয়া হয়েছে জনপ্রতি ১২ শত টাকা,ফাইনাল পরিক্ষার ফি নেওয়া হয়েছে জন প্রতি ৪শত টাকা, ৯ম শ্রেণীতে নিবন্ধন বাবদ সরকার নির্ধারিত ফি ছিল ১৭১ টাকা, প্রধান শিক্ষক সরকারী নিয়মকে অমান্য ও তোয়াক্কা না করে নিবন্ধন ফি নিয়েছেন জন প্রতি ৪শত টাকা,অতিরিক্ত টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়ার কথা থাকলে ও আজঅবদি তিনির অনিয়মতান্ত্রিক আদায়কৃত টাকা ফেরত দেওয়া হয় নাই, সর্বমোট ১১ লক্ষ,২৮ হাজার ৩শত টাকার কোন রকম হিসাব দেন নাই তিনি, এমন কি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মোশাহিদ আলীর বিরুদ্ধে জাল সাইটিফিকেট বিক্রির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যা সরেজমিনে তদন্তকালে প্রমান সহ সত্য উদঘাটন হবে মর্মেও উল্লেখ করা হয়৷ উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাষ্টীয় আইন কে অমান্য করে নিজের ইচ্ছায় অনেক অনিয়ম করে যাচ্ছেন বিধায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমান্বযে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে এমনকি গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অভিভাবকদের৷ এমতাবস্থায় সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে এই আলোচিত সমালোচিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়৷
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শাহ্ মোশাহিদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন তাঁর উপর আনীত অভিযোগ গুলো সত্য নহে, এর বেশি কিছু বলতে নারাজ৷