শ্নাশান ঘাটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লাশ দাহ করতে বাধা প্রদান সহ হুমকির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘল বাক ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে একদল প্রভাবশালী ভূমি খেকোদের কান্ড! জানাযায়, উপজেলার বহরমপুর গ্রামের ওই ভূমি খেকো চক্র কর্তৃক সরকারী খাস খতিয়ানের কয়েক একর ভূমি বছরের পর বছর ধরে জোরপূর্বক জবরদখল করে এলাকায় যেন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে৷ শুধু তাই নয় এই চক্র কর্তৃক  সনাতন ধর্মাবলম্বীয়দের শত বছরের পুরনো শ্মশানঘাট,যেখানে হিন্দুরা মারা গেলে দাহ্ করা হয় সেই স্থানও জোরপূর্বক দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে, এরই ধারাবাহিকতায় শ্নাশানঘাট থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছে তারা৷ এ বিষয়ে  বহরমপুর গ্রামের পঞ্চায়েত পক্ষের অজয় সূত্রধর ও ডা: স্বপন সূত্রধর বলেন  গত ২২ জানুয়ারি তাদের গ্রামের দীগেন্দ্র সূত্রধরের স্ত্রী ছাওমনি সূত্রধর দুপুরে মারা যান,তাকে যখন শেষ কৃত্ব দাহ্ করতে বেলা ৩ টায় সেখানে নিয়ে যান, তাৎক্ষণিক সময়ে দাহ্ করতে বাধা প্রদান করেন ভূমি খেকো চক্রের প্রভাবশালী ইউনুস মিয়া,মিছিল মিয়া,সামাদ মিয়া দুলাল মিয়া,মুকিত,মোজাহিদ সহ তাদের পক্ষের লোকজন৷ 

,এসময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে, একপর্যায়ে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত  ইনচার্জ আবু বক্কর, এস,আই ফয়জুল হক ফজলু সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশের উপস্থিতিতেই রাত ১০টায়  লাশ দাহ্ করা হয়৷ এর পরথেকে গ্রামে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে, যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী৷ এছাড়াও উল্লেখিত সরকারী ভূমি নিয়ে ইতিপূর্বে চরম হট্টগোল ও বিরোধ দেখা দিলে সম্প্রতি প্রশাসন কর্তৃক  ভূমি খেকোদের উচ্ছেদ করে দেয়া হয়, তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই পূণরায় জবরদখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে ভূমি খেকোরা৷  এই বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে সচেতন মহল কর্তৃক প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন৷


শেয়ার করুন