খুলনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
খুলনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গাংনীতে বিষপানে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

গাংনীতে বিষপানে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

রকিবুল ইসলাম রকি : মেহেরপুরের গাংনীতে মোছাঃ লিজা আক্তার শান্তা (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।

সোমবার সকালে উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের করমদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সে চলতি বছর করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছিল।


লিজা আক্তার উপজেলার করমদী গুসাইডুবি গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী মোঃ জালাল উদ্দীনের মেয়ে।


স্থানীয়রা জানান, লিজা আক্তার রাতে কখন বিষ খেয়েছে কেউ জানেনা।পরে বুঝতে পেরে বাড়ি ও আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


ডাক্তার নুর আলম বলেন,আমার এখানে পৌঁছানোর পরপরই সে মারা যায়।ধারণা করা হচ্ছে সে রাতের কোন এক সময় বিষপান করেছিল। 


মৃত লিজা আক্তারের বড় চাচা মোঃ আঃ রশিদ বলেন,আমি ব্যবসায়ী কাজে বাইরে ছিলাম।খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে ছুটে আসি।বাড়িতে কোন ঝামেলা হয়নি কিন্তু কেন মেয়ে এমন কাজ করেছে জানিনা।ধারনা করা হচ্ছে বাড়িতে রাখা বিষ পান করে তার মৃত্যু হয়েছে। 



গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাংনীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের উদ্বোধন

গাংনীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের উদ্বোধন

রকিবুল ইসলাম রকি : "দু্র্ঘটনা দূর্যোগ হ্রাস করি,বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি" এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মেহেরপুরের গাংনীতে ৩ দিন ব্যাপী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। 


মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বামন্দী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ভার্চুয়ালী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।


কাজীপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রিয়াজ আহমেদের সঞ্চালোনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বামন্দী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইছাহক আলী।


প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম।


বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।


এসময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খন্দকার সহিদুর রহমান,বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক হাজী মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন

আমনে বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

আমনে বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

রকিবুল ইসলাম রকি : চলতি মৌসুমে মেহেরপুরের গাংনীর আমন চাষিরা আশা করছে ধানে বাম্পার ফলন হবে।অনেকে ধান কাটতে শুরু করেছে।এখন ব্যস্ত সময় পার করবে চাষিরা। শত ব্যস্ততার আর ঘরে নতুন ধান তোলার আনন্দে মাতবে কৃষক- কৃষাণীরা।তাদের মনে বইছে আনন্দের হাসি।ধান তোলার কাজে পুরুষের সাথে কাজে সহযোগিতা করে আনন্দের ভাগাভাগি করে নেয় বাড়ির গৃহিণীরা।



সরেজমিন ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে মাঠ জুড়ে রয়েছে সোনালী ধান।ধান পেকে ধারণ করছে সোনালী রং। চাষিরা সকাল থেকে কাস্তে-দড়ি হাতে বেরিয়ে পড়েছে ধান কাটতে।মৃদু রোদ, হালকা বাতাসে মনের সুখে গান গাইছে তারা।আর গানের তালে তালে একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করে চলেছে। কেউ কাটছেন, কেউ বাঁধছেন, আবার কেউ আটি বেঁধে মাথায় করে বা গাড়িতে করে বাড়ি বা ধান মাড়ার খোলায় আনছেন। বসে থাকার সুযোগ নেই কৃষক পত্নীরও।তারাও ধান মাড়াইয়ের পরে পরিষ্কার করে ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।পাকা ধানের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।


বাদিয়াপাড়া গ্রামের ধান চাষি মতিয়ার রহমান বলেন,আমার ৩ বিঘা জমিতে ধান আছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর সময় ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকায় ছিলাম। আল্লাহর রহমতে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। এবছর ধানের ফলন অনেক ভালো হবে। ধানের শীষে অনেক ধান রয়েছে।বিঘা প্রতি ১৯-২০ মণ হারে ফলন হবে আশা করছি। 



বাওট গ্রামের ধানচাষি আঃ রশিদ বলেন,মাঠে চলতি বছর খুব ভালো ধান হয়েছে।ঝড় নিয়ে ভয় ছিল তা আর নেই।বর্তমানে বাজার মূল্য ৯০০-১০০০ টাকা। আশা করছি ধানে ভালো দাম পাব আর লাভ হবে।অনেকে ধান কাটতেও শুরু করেছে।


করমদিগ্রামের ধান চাষি হাসান আলি জানান,চলতি মৌসুমে ধানের আবাদ করতে গিয়ে অনেক খরচ বেড়ে গেছে শার ডিজেল কি করছো সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।মাঠে এবার ভালো ধান হয়েছে।দাম ভালো থাকলে আশা করছি লাভ হবে।তাছাড়া জমিতে ফসল ভালো ও লাভ হলে খরচের কথা আর মনে থাকে না।


দেবীপুর গ্রামের ধান চাষি দেলোয়ার হোসেন বলেন,এবছর ধানের আাবাদ করতে গিয়ে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে।একদিকে অনাবৃষ্টি অপরদিকে সার,ডিজেল,মজুরি সহ সবকিছুর খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।ধানে সেচ দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম।ধান কাটতে শুরু করেছি। আশা করছি ধানে ফলন অনেক ভালো হবে।বিঘা প্রতি ১৮-২০ মণ হারে হবে।ভালো দাম পেলে লোকসান গুনতে হবে না।


গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়,চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন ধান রোপণ করা রয়েছে ১৩ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে।আশা করা হচ্ছে এবার ধানে ভালো ফলন হবে।দাম ভালো পেলে কৃষকরা লাভবান হবে।চাষিদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে।



উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, এবছর উপজেলায় প্রায় ১৩ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। চলতি বছর উপজেলায় বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।

ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধানের ফলনও ভালো হচ্ছে। সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কিছু জমির ধান হেলে পড়লেও ফলনে তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না। আশা করছি এবার ধানের ফলন ভালো হবে।আমরা আশাবাদী ১৩ হাজার ৬১০ হেক্টর রোপা আমন থেকে ৮২ হাজার মেট্রিক টন ধান  উৎপাদন হবে

গাংনীতে ট্রান্সফর্মার চুরি কৃষকরা দিশেহারা

গাংনীতে ট্রান্সফর্মার চুরি কৃষকরা দিশেহারা

রকিবুল ইসলাম রকি : মেহেরপুরের গাংনীতে তিনটি ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনায় চাষিরা আবাদ নিয়ে পড়েছে দুশ্চিন্তায়।


রবিবার রাতে উপজেলার দেবীপুর ভিটাপাড়া ইসহাকের ডিপের মাঠে  এই ঘটনা ঘটে।



বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের  মালিক হবিবর রহমান জানান,মাঠে পরিপূর্ণ আমনের আবাদ চলছে।এই মুহূর্তে চুরির ঘটনায় আমন ধান নিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আর এ সময় ধানে পানি না দিলে ধানের চিটা পড়ে যাবে।এতে কৃষকের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন এবং ফলনেও শঙ্কা দেখা দেবে।ট্রান্সফর্মারের দামও অনেক বেশি।এই মুহূর্তে আমাদের কেনা সম্ভব না। যদি দ্রুত এই ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে অনেক চাষী ক্ষতির মধ্যে পড়বে। 


বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের মালিক মনিরুল ইসলামের ছেলে আকাশ আহমেদ জানান,গতকাল সন্ধ্যার সময় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখে গিয়েছি তখনো ট্রান্সফর্মারটি ছিল।সকালে এসে দেখি চুরি হয়ে গেছে।আমার স্কিমে অনেকের আমন ধান সহ বিভিন্ন আবাদ রয়েছে।  এছাড়াও বিভিন্ন সবজি ফসলও করছে।এসব ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে যদি দ্রুত ট্রান্সফর্মার ঠিক না করা যায়।সন্ধ্যার পর দীর্ঘ সময় কারেন্ট না থাকার সময় তারা এসব চুরি করে নিয়ে যায়। 




আমন চাষি ফনিরুল ইসলাম জানান,আমার আড়াই বিঘা জমিতে ধানের আবাদ রয়েছে।এ মুহূর্তে ধানের সেচ দিতে না পারলে ধানের খুব ক্ষতি হবে।এখনো আমার ধানে দশটা সেচ দিতে হবে।ধানের সেচ দিতে না পারলে ধান চিটা হয়ে যাবে।আর এতে ধানের ফলন কমে যাবে।


ধান চাষি নবিছউদ্দিন জানান,গতকাল সন্ধ্যার পরে বিদ্যুৎ চলে যায়।দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না আসায় চোরেরা এই সুযোগে ট্রান্সফর্মার গুলো চুরি করে নিয়ে যায়।এর মধ্যে যে মূল্যবান পিতল ছিল সেগুলো নিয়ে যায় আর ঠোসগুলো ফেলে যায়।আমি আমার ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। 



বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের মালিক হবিবর রহমানের বড় ছেলে আব্দুস সালাম জানান,তিনটি ডিপের স্কিমে প্রায় তিন’শ বিঘা জমির আবাদ রয়েছে। যদি মেশিনের মাধ্যমে আবাদ করতে হয় তাহলে তেলের দাম অনেক বেশি, খরচ অনেক বেড়ে যাবে। তাতে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। প্রশাসন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা এবং ভবিষ্যতে যেন এ-ই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেটা নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।



দেবীপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  আব্দুল গনি জানান,ট্রান্সফর্মার চুরি হওয়ার কারণে ধান চাষিরা সকালে ধানে সেচ দিতে পারেনি।তিনটি সেচ পাম্পের আওতায় প্রায় ৩০০ বিঘা আবাদ রয়েছে। এর মধ্যে আমন ধান সহ বিভিন্ন ফসল রয়েছে।আবাদ গুলোতে প্রতিনিয়ত সেচ দেওয়া লাগে। তাই দ্রুত ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা না করা হলে কৃষকরা বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বে।



বামন্দী সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার(ও এন্ড এম) মোঃ হানিফ রেজা জানান,ট্রান্সফর্মার চুরির বিষয়টি খুব দুঃখজনক।আমরা যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সমাধান করব। চাষীদের যাতে কৃষি খাতে কোন সমস্যা না হয়।তাই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।


বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইসরাফিল হোসেন জানান,ট্রান্সফর্মার চুরির খবর শুনেছি তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি

গাংনীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

গাংনীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

রকিবুল ইসলাম রকি : মেহেরপুরের গাংনীতে সাবিনা খাতুন (৩৩) নামের এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠছে তার স্বামী বিদ্যুৎ হোসেনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সে। ঘটনাটি উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের কুঞ্জনগর গ্রামের হুদাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাবিনা খাতুন কুঞ্জনগর গ্রামের বিদ্যুতের স্ত্রী ও পার্শবর্তী কুমারীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।

নিহত সাবিনা খাতুনের বড় বোন শারমিন খাতুন বলেন, গত দুই মাস পূর্বে কুঞ্জনগর গ্রামের ওলি বিশ্বাসের ছেলে বিদ্যুতের সাথে তার ছোট বোন সাবিনার বিয়ে হয়। ইতোপূর্বে বিদ্যুৎ চারটি বিয়ে করেছিলো শারীরিক সমস্যার কারনে অন্য বউরা চলে গেছে। বিদ্যুৎ প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে আমার বোনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে বিদুৎ ও তার পরিবারের সদস্যরা সাবিনা খাতুনের উপর মানষিক নির্যাতন করতো। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ছোট বোন সাবিনাকে আমার ভাই মাকুল সহ কয়েকজন নিতে যায়। ভাইদের সাথে সাবিনাকে না পাঠিয়ে তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয় বিদ্যুৎ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর রাতেই সাবিনার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। হত্যার পরপরই বিদ্যুৎ সহ তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে। 

বিদ্যুত সহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় হত্যাকান্ডের বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নী।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন,মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে