সিলেট লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সিলেট লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
নবীগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে গ্রেটার সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন লুটন বিইডিএস ইউকে কর্তৃক নগদ অর্থ প্রদান

নবীগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে গ্রেটার সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন লুটন বিইডিএস ইউকে কর্তৃক নগদ অর্থ প্রদান

এম. মজিবুর রহমান, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন গ্রেটার সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন লুটন বিইডিএস ইউকে এর অর্থায়নে মোঃ নাজমুল আলম চৌধুরী বাবুল এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। 

৫ অক্টোবর শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় উক্ত ওয়ার্ডে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ পৌঁছে দেন । এ সময় স্থানীয় 

স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমজদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা মনছুর আহমদ আজাদ, কালাভরপুর গ্রামের মোঃ লুৎফুর মিয়া, মোঃ সাইফুর রহমান, প্রজাতপুর গ্রামের মোঃ ফয়ছল মিয়া, নুরুল আমীন চৌধুরী প্রমূখ। সুদূর যুক্তরাজ্য থেকে দেশের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এলাকাবাসী গ্রেটার সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন লুটন বিইডিএস ইউকে সভাপতি খুররম চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি নানু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমদ রুবেল এবং ট্রেজারার মিয়া মুহাম্মদ জামিলকে সহ উক্ত সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত সকল সদস্যকে আন্তরিক  ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

নবীগঞ্জ শহরে প্রায় দেড়যুগ পর সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার হলো প্রবাসীর মালিকানাধীন ভূমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান৷

নবীগঞ্জ শহরে প্রায় দেড়যুগ পর সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার হলো প্রবাসীর মালিকানাধীন ভূমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান৷

এম. মজিবুর রহমান, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :


হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দীর্ঘ দেড়যুগ পর  উদ্ধার হলো প্রবাসীর মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভূমি৷ পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নতুন বাজার মোড় সন্নিকটে  মায়া ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল নামীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ভূমি অবশেষে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে জানাগেছে৷ জানাযায়, প্রবাসী অধ্যুষিত নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের রাইয়াপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী শেখ আব্দুল গফুর (৬৮) নামে হয়রানির শিকার ব্যক্তি বলেন, তিনি স্বপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন, এরই সুবাদে  তাঁর এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভূমি দেখা শোনার দায়িত্ব দেন তারই আপন ভাগিনা একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের সরিষপুর গ্রামের আকলিছ মিয়ার পুত্র সাজ্জাদুর রহমান এর নিকট৷

কিন্তু তাঁর ভাগিনা দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তার মালিকানাধীন ভুমি ও উক্ত ট্রাভেলস জবরদখল করে তাঁকে আবার উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিলেন, এনিয়ে তিনি বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়ে ও প্রভাবশালী ভাগিনা ও তার লোকজনের  কবল থেকে তার এই সম্পদ উদ্ধারে ব্যর্থ ছিলেন৷ অবশেষে বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে নবীগঞ্জ থানায় দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (৬৪ ইষ্ট বেঙ্গল)  ক্যাম্প  বরাবরে তিনি অভিযোগ দায়ের করলে প্রবাসী শেখ  আব্দুল গফুর এঁর বিষয়টি অতি গুরুত্ব সহকারে  বিবেচনা করে সমস্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে অবশেষে গত ১৩ আগষ্ট বেলা ২টায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে  ৬৪ ইষ্ট বেঙ্গল নবীগঞ্জ ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রফিকুল ইসলাম ভূইয়া ও তাদের টিম কর্তৃক জবরদখলকারীদের কবল থেকে মায়া ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল এর ভূমি  ও চাবি উদ্ধার করে   ভূমির প্রকৃত মালিককে জায়গাটি সমজিয়ে দেয়া হয়৷

এঘটনার সত্যতা স্বীকার  করলেন ৬৪ ইষ্ট বেঙ্গল নবীগঞ্জ ক্যাম্প এর নবীগঞ্জ থানায় কর্মরত সিনিয়র  ওয়ারেন্ট অফিসার রফিকুল ইসলাম ভূইয়া৷ এ ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই প্রবাসী ও তার পরিবার৷

আজমিরীগঞ্জ থানায় জুয়া ও মাদক বিরোধী অভিযানে নগদ অর্থসহ ৫ জুয়াড়ি গ্রেফতার

আজমিরীগঞ্জ থানায় জুয়া ও মাদক বিরোধী অভিযানে নগদ অর্থসহ ৫ জুয়াড়ি গ্রেফতার

মোঃ মোজাহিদ মিয়া, আজমিরীগঞ্জ থেকে :

হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের ডায়নামিক ও বলিষ্ঠ পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, বিপিএম-সেবা অত্র জেলায় যোগদানের পর থেকেই হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ মাদক, জুয়া ও চোরাচালান বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়াও অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করছে জেলা পুলিশ হবিগঞ্জ।

এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ সুপার  দিকনির্দেশনায় মাদক ও জুয়া বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে  আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক ২৩/০৫/২৪ খ্রিঃ তারিখ  রাত অনুমান ০১.৫০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই জয়ন্ত দাস ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ আজমিরীগঞ্জ থানাধীন ৪নং কাকাইলছেও ইউনিয়নের অন্তর্গত আনন্দপুর ও শরীফপুর ফুটবল খেলার মাঠে অভিযান  পরিচালনা করে জুয়া খেলার আলামত সহ কাকাইলছেও ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের মৃত কনাই মিয়ার পুত্র রোকন মিয়া (৫৫)কে,একই গ্রামের  সিজিল মিয়ার পুত্র পারভেজ মিয়া (৩২)কে,ও একই গ্রামের রমাজান মিয়ার পুত্র মোস্তাফিজুর( ২৮)কে,  কাকাইলছেও আনন্দপুর গ্রামের মৃত মুছা মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া (২৫) কে,  একই গ্রামের মন্নান বেপারির পুত্র কবির বেপারি (৩৫)  মোট ৫(পাঁচ)কে জন জুয়াড়ীকে আটক করা হয়। ধৃত আসামীদের কাছ থেকে জুয়া খেলায় ব্যবহৃত ২ বান্ডিল তাস, ত্রিপল, কম্বল এবং নগদ ১৮৮২০/-(আঠারো হাজার আটশত বিশ) টাকা জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। এছাড়াও পলাতক আসামীরা হলেন কাকাইলছেও ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের তোফাজ্জল মিয়ার পুত্র মাসুম মিয়া (২৭), ইসকান্দর মিয়ার পুত্র নাঈম মিয়া (২৬),ইব্রাহিম মিয়ার পুত্র সাদ্দাম মিয়া (৩২)। 


এই বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদ বলেন, মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে প্রশাসনের তৎপরতা আছে,থাকবে যেখানে জুয়া খেলা হবে সেখানেই দ্রুত আইনীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, উক্ত বিষয়ে তিনি বলেন আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

 নবীগঞ্জের আলোচিত কলেজ শিক্ষার্থী তাহসিন হত্যা মামলায়  শাফি নামে আরেক আসামি ঢাকায় গ্রেফতার

নবীগঞ্জের আলোচিত কলেজ শিক্ষার্থী তাহসিন হত্যা মামলায় শাফি নামে আরেক আসামি ঢাকায় গ্রেফতার

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :

নবীগঞ্জে বহুল আলোচিত কলেজ শিক্ষার্থী সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সাফি আহমেদকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। ১৮ মার্চ ২০২৪ ইং সোমবার সকালে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর নির্দেশনায় এস আই রাজিব রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ । আসামি রাজনগর গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে শাফি আহমেদ (২৫)৷

উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন হত্যাকান্ডে মান্না'কে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীরা হলো জুয়েল, রিহাত, সাফি,রিমন,জাকির, লাদেন, সাজু,সাজ্জাত,রাতুল ও মওদুদ। নিহত তাহসিনের মা" মাহফুজা সুলতানা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী৷
রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় , ম্যানেজিং কমিটির সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল।

রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় , ম্যানেজিং কমিটির সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল।

রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল ১১ ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার বেলা ১২.০০টায় বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আছলাম উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্তে¡  প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম মাষ্টার সাহেব ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব মাহবুব হোসেন জীবন।
রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব শফিউল্লাহ সাহেবের পরিচালনায় ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য জনাব আব্দুল বাছিত এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্রামের শালীশ ব্যক্তিত্ব জনাব আব্দুস সালাম,  জানব সামীর মিয়া, কয়েছুর রহমান কয়েছ, জনাব রফিকুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জনাব মোতাহার আলী নুনু, জনাব এমদাদ হোসেন, জনাব কামরুজ্জামান , ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার জনাব টিপু সুলতান, ৫৭নং রৌয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব ইসলাম উদ্দিন এবং উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোঃ শফিউল্লাহ (সহকারি শিক্ষক), জনাব মোঃ হারুন-অর-রশিদ(সহকারি শিক্ষক), জনাব আক্তারুজ্জামান(সহকারি শিক্ষক), জনাব লিটন হোসেন (সহকারি শিক্ষক), জনাব রেজাউল করিম (সহকারি শিক্ষক), জনাব আফছার উদ্দিন(সহকারি শিক্ষক), জনাব রুনি ফারজানা (সহকারি শিক্ষক), জনাব অপু রাণী ডাকুয়া (সহকারি শিক্ষক), জনাব নাজমুল হাসান (অফিস সহকারি কাম হিসাব সহকারি), জনাব রুহুল আমিন(কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর) সহ প্রমুখ। 

এর আগে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ ফুহাদ মিয়া। অনুষ্ঠানের বিদায়ী ছাত্র/ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন অত্র বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র / ছাত্রীদের পক্ষ থেকে দৃষ্টি তালুকদার। বিদায়ী ছাত্র/ ছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সফওয়ান আহমেদ, জিনিয়া আক্তার, মীম আক্তার প্রমুখ। বিদায়ী ছাত্র/ছাত্রীদের উপহার প্রদান করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ। 


নবীগঞ্জে রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তি করে ফেসইবুকে পোস্ট! নবীগঞ্জ উত্তাল-গণ স্বাক্ষর- কটুক্তিকারী অর্নিবাণ গ্রেফতার

নবীগঞ্জে রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তি করে ফেসইবুকে পোস্ট! নবীগঞ্জ উত্তাল-গণ স্বাক্ষর- কটুক্তিকারী অর্নিবাণ গ্রেফতার

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:- নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব অনির্বাণ নাগ অনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও রাসুল (সাঃ)কে কটুক্তি করে তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। এই  পোষ্টকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে তাৎক্ষনিক এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে প্রতিবাদ জানান অনেকেই। গত রবিবার নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া বাজারে অনিকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী। সভায় নেতৃবৃন্দ তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়।

ফেসইবুক আইডিতে পোস্ট করার অবিযোগে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল (১২ ফেব্রুয়ারী) সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


জানাযায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসইবুকে ‘আস্তিক বনাম নাস্তিক ধর্ম বিজ্ঞান যুক্তিসংগত আলোচনা’ নামক ফেসবুক গ্রুপে গত ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দুটি পোস্ট করে, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার শিবপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব অনির্বাণ নাগ অনি। গত ৯ ফেব্রুয়ারী ফেসইবুকে পোস্টে অনির্বাণ নাগ অনি রাসূল (সাঃ) কে নিয়ে কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করে। এর পরপরই অনির্বাণের ফেসইবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। অনির্বাণ নাগ অনিকে দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবী করে শতাধিক পোস্ট করেন ফেসইবুক ব্যবহারকারীরা।


গতকাল রবিবার নবীগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের মুসলিম জনগণের পক্ষে গণস্বাক্ষর দিয়ে অনির্বানকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবীগঞ্জ থানা লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এতে, অর্নিবানকে গ্রেফতারে পুলিশ ও গোয়েন্দা তৎপর হয়ে উঠে। ইতিপর্বেও অনির্বাণের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উস্কানিমূলক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগও রয়েছে। বার বার ফেসইবুক আইডি হ্যাক হওয়ার দাবী করে রক্ষা পেয়ে যায়।


এ প্রসঙ্গে অনির্বাণ নাগ অনি তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবী করে তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছে। এরপর থেকে তার আইডি ফেসইবুকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে, সাংগঠনিক শৃংখলাভঙ্গ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস ও কমেন্টের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব অনির্বাণ নাগ অনিকে প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। গত রবিবার জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিস্কারাদেশ প্রদান করা হয়।


এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাসুক আলী বলেন, এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা,  পুরষ্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, পুরষ্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

জগন্নাথপুর উপজেলাধীন রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ০৭-০২-২০২৪, ০৮-০২-২০২৪ ও ১০-০২-২০২৪ ইং তারিখে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব মাহাবুব হোসেন জীবন। 

রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য জনাব আব্দুল বাছিত। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জনাব আছলাম উদ্দিন ফকিরের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব রফিকুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জনাব মোতাহার আলী নুনু, জনাব এমদাদ হোসেন, জনাব কামরুজ্জামান , ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার জনাব টিপু সুলতান, ৫৭নং রৌয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব ইসলাম উদ্দিন এবং উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোঃ শফিউল্লাহ (সহকারি শিক্ষক), জনাব মোঃ হারুন-অর-রশিদ(সহকারি শিক্ষক), জনাব আক্তারুজ্জামান(সহকারি শিক্ষক), জনাব লিটন হোসেন (সহকারি শিক্ষক), জনাব রেজাউল করিম (সহকারি শিক্ষক), জনাব আফছার উদ্দিন(সহকারি শিক্ষক), জনাব রুনি ফারজানা (সহকারি শিক্ষক), জনাব অপু রাণী ডাকুয়া (সহকারি শিক্ষক), জনাব নাজমুল হাসান (অফিস সহকারি কাম হিসাব সহকারি), জনাব রুহুল আমিন(কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর) সহ প্রমুখ। 

নবীগঞ্জে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন সনদ ফি নিচ্ছে ২শ টাকা

নবীগঞ্জে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন সনদ ফি নিচ্ছে ২শ টাকা

সরকারি নিয়মানুয়ী কোন জন্ম নিবন্ধনের ফি নেওয়া হয় একেবারে নুন্যতম হারে ।  শিশুর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের উপরে সব বয়সীদের ৫০ টাকা ফি নেয়ার নিয়ম করে দিয়েছে সরকার । তবে সরকারের এই নিয়ম মানা হচ্ছেনা দেশের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের মত বাউসা ইউনিয়ন পরিষদে । সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদ সরকারি বেধে দেয়া টাকার অংকের জায়গায় নিজেরাই নতুন নিয়ম করেছেন তারা। সে নিয়মে প্রতি জন্ম সনদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।  ২৫ জানুয়ারি  বৃহস্পতিবার দুপুর প্রায়  ১২ ঘটিকায় সময় খোঁজ নিয়ে এমন অভিযোগের সত্যতা ও পাওয়া যায়। নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের রিফাতপুর গ্রামের  মো: হাবিবুর রহমান চৌধুরী  বলেন, ২০০ টাকা কমে জন্ম সনদ দেওয়া যাবে না বলে জানান উদ্যোক্তা  সামাদ। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন সচিব অফিস রুমে গেলে সচিবকে পাওয়া যায়নি অফিস সহকারি কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন আমাদের অফিসে জন্ম নিবন্ধন ফি ২০০ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান শেখ সাদিকুর রহমান শিশু মিয়াকে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন আমি সিলেট যাচ্ছি বলেন কি? সাংবাদিক কে বলেন আমাদের অফিসে জন্ম নিবন্ধন ফ্রি ২০০ টাকা। তাই বাধ্য হয়ে ২০০ টাকা দিয়ে জন্ম সনদ নিয়েছি।তবে ইউনিয়নে এ অভিযোগ নতুন নয়। সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে জন্মনিবন্ধন সনদে অতিরিক্ত ফি আদায় করেন বলে অনেক ভুক্তভোগী জানান ।এটা দেখারও কেউ নেই বলে 

জানিয়েছেন  ভুক্তভোগী  স্থানীয়রা ।এ বিষয়টি দেখতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জনসাধারণ। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি  দেখবেন বলে জানান

আজমিরীগঞ্জে চোরাই পথে আসা ১৯০ বস্তাভা রতীয় চিনি  আটক।

আজমিরীগঞ্জে চোরাই পথে আসা ১৯০ বস্তাভা রতীয় চিনি আটক।

আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন চরবাজারে জনতার হাতে ট্রলিবোঝাই অনুমানিক সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৯০ বস্তা একই এলাকার ৩ টি গুদামের কয়েক হাজার বস্তা চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনি গতকাল রবিবার অলৌকিকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। গত শনিবার রাত ৮ টায় ট্রলিভর্তি ১৯০ বস্তা চিনি ভারতীয় চিনি আটক করে জনতা। এ সময় আশপাশের প্রায় ২ শতাধিক উৎসুক জনতা জড়ো হয়েছিল।

জানা যায়,

বেশ কয়েকমাস পূর্বে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, মধ্যনগর সহ বেশ'কটি উপজেলা থেকে চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনির বস্তা পরিবর্তন করে, অন্য বস্তায় ভর্তি করে ট্রলার বোঝাই করে অধিক মুনাফার লোভে আজমিরীগঞ্জে নিয়ে এসে বাজারজাত করছে একাধিক অসাধু ব্যবসায়ীচক্র।

গত শনিবার সন্ধ্যায় আবারও ট্রলার বোঝাই চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনি নিয়ে আসে ওই চক্রটি। লঞ্চঘাট থেকে ট্রলার থেকে চিনি ট্রলিভর্তি করে পৌরসভাধীন চরবাজারের রামকৃষ্ণ মিশন এলাকায় গুদামজাত করার জন্য নিয়ে আসে। রাত অনুমানিক ৮ টায় ওই এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন এলাকায় পৌঁছলে উৎসুক জনতা চোরাইপথে আসা ট্রলিভর্তি ভারতীয় ১৯০ বস্তা চিনি আটক করে। এ সময় আশপাশের ২ শতাধিক উৎসুক জনতা জড়ো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্হলে ছুঁটে আসে। আটককৃত ১৯০ বস্তা চিনির ব্যাপারে জড়িত ব্যবসায়ী, পুলিশ ও এলাকার লোকজন একটি বৈঠকে বসে। ১৯০ বস্তা চিনি এসআই প্রদীপ রায়ের জিম্মায় দেয়া হয়। গতকাল রবিবার চরবাজারের ৩ টি গুদামে হাজার হাজার চিনির বস্তা গায়েব হয়ে গেছে। এ ছাড়াও ১৯০ বস্তা চিনি কোথায় তা কারো জানা নেই বলে জানা নেই। এ ব্যাপারে থানার এসআই প্রদীপ রায় জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্হলে ছুঁটে গিয়ে ট্রলিভর্তি ১৯০ বস্তা চিনি আটক করি। চিনির মালিক সুজিতরায় ও বিক্রম মোদকের বলে জানতে পারি। ট্রলিভর্তি চিনি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন পাহারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। জড়িত ওই দুই ব্যবসায়ী জানায়, তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। গতকাল রবিবার আমদানি করা চিনির কাগজপত্র থানায় নিয়ে আসার কথা থাকলেও তারা অদ্যাবধি আসেনি।

নবীগঞ্জে রবীন্দ্র গ্রন্থাগারের আলোয় একদিন সমগ্র উপজেলা আলোকিত হবে - ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম

নবীগঞ্জে রবীন্দ্র গ্রন্থাগারের আলোয় একদিন সমগ্র উপজেলা আলোকিত হবে - ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম

স্টাফ রিপোর্টার : বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’ নবীগঞ্জ তথা হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী গণ গ্রন্থাগার। এই গ্রন্থাগারের বিভিন্ন কার্যক্রম শুধুমাত্র পাঠক সেবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন না,সমাজকে আলোকিত করতে প্রতিটি কার্যক্রম ভূমিকা রাখে। এমন একদিন আসবে এই গ্রন্থাগার শুধু মুক্তাহার গ্রাম নয়, সমগ্র উপজেলাকে আলোকিত করবে। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার মুক্তাহার গ্রামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’ কর্তৃক আয়োজিত  কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা উপলক্ষে গতকাল এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রত্নদীপ দাস (রাজু) এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত দাশের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র চন্দ্র দাসের স্মরণে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট গতিগোবিন্দ দাশ বলেন- ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’- এই ইউনিয়নের স্বনামধন্য ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র চন্দ্র দাস মহোদয়ের নামানুসারে স্থাপিত করা হয়েছে যা একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। আমি তাঁকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি ও তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। এই গ্রন্থাগারের যোগপযোগী কার্যক্রম শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের নয়, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য অনুস্মরণীয়। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নবীগঞ্জ পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌর চন্দ্র রায়, দিনারপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তনুজ রায়, উপজেলা শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল মিয়া, ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার বিকাশ দত্ত রায়, সাবেক মেম্বার ফনী ভূষণ দাশ, উপজেলা তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রনব দেব, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রূপায়ণ দাশ, ১২ নং ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল মুক্তাদির, ৭নং ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাশ নারায়ণ, পাঠক ফোরামের সহ-সভাপতি দেবাশীষ দাশ রতন প্রমুখ। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন- জয় দাশ ও শান্তা দাশ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৭ জন শিক্ষার্থী, এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪ জন শিক্ষার্থী, ৫ম শ্রেণির চূড়ান্ত প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় এ প্লাস পাওয়া ৭ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়

শেরপুরে ২৪০ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ ট্রাক আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ

শেরপুরে ২৪০ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ ট্রাক আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ

এম. মুজিবুর রহমান, নবীগঞ্জ থেকে:

ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা ২৪০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ একটি  ট্রাক আটক  করেছে শেরপুর হাইওয়ে থানা  পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার সকালে চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের পাশ্ববর্তী শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বরে যাত্রী ছাউনির সামনে চিনি ভর্তি  ঢাকাগামী দ্রুতগতির  ট্রাক ঢাকামেট্রো ( ট- ২০৮১৫৩) কে সিগন্যাল দিলে পালানোর  সময় এসব চিনি ও ট্রাক আটক করা হয়। হাইওয়ে  পুলিশ সূত্রে জানাযায়, 


পুলিশ বলছে, অবৈধভাবে চিনি পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানার কাওছার আহমেদ  এর  নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসিয়ে উল্লেখিত চিনির বস্তা ও ট্রাক   আটক করা হয়। ভারত থেকে অবৈধভাবে এসব চিনি নিয়ে এসে   বস্তায় ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হয় বলে জানায় পুলিশ৷ এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেব জানান,এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷  ভারত থেকে চোরাইপথে চিনির বস্তাগুলো আনা হয়েছে। আটকের সময় ড্রাইভারকে পাওয়া যায়নি। চোরাকারবারির নাম জানার চেষ্টা করছি। অচিরেই ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে৷

নবীগঞ্জে ৮ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ! আদালতে মামলা দায়ের

নবীগঞ্জে ৮ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ! আদালতে মামলা দায়ের

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কৈলাশ গঞ্জ বাজারের বাসিন্দা বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের গাড়ী চালক শেফন মিয়ার জনৈকা (৮) বছরের শিশু কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে৷ এ ঘটনায় হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দাযের করেছেন৷ বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ  ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হবিগঞ্জকে ত দন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক৷

শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের  ঘটনায় এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বইছে৷ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি কুচক্রী মহল নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে ধর্ষিতার পিতা অভিযোগ করেন৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ ও মামলার এজাহারে উল্লেখ: ওই উপজেলার কৈলাশ গঞ্জ বাজারের ভাড়াটে বাসিন্দা ও বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রে নিয়োজিত গাড়ি চালক পৌর এলাকার শিবপাশা  গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার ছেলে শেফন মিয়া বলেন,গত ৩০ আগষ্ট বিকাল ৫টায় তার শিশু কন্যা (৮) অন্যান্য শিশুদের সহিত খেলাধুলার একপর্যায়ে কৈলাশ গঞ্জ  বাজারের নিকটবর্তী কল্যাণ পুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র আবু বক্করের বাড়ির গোয়াল ঘরের সামনে যাওয়া মাত্রই মেয়েটির মুখে চাপা দিয়া ধরিয়া গোয়াল ঘরের ভেতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে৷ এ ঘটনায় মেয়েটির রক্তক্ষরণ হলে তার সৎ মা ও প্রতিবেশীদের বিষয়টি অবহিত করে শিশুটি৷ এ বিষয়ে তৎকালীন সময় ধর্ষিতার পিতা নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন৷ অবশেষে গত ১৩ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-৩ এতে মামলা দায়ের করেন৷ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হবিগঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত৷ এরই প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই বাপ্পু বন্যি সঙ্গীয় পোর্স নিয়ে গত  ৭ ডিসেম্বর দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করেন, এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন,তদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলা যাবেনা, তবে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সুবিচার নিশ্চিত করা হবে৷ অপরদিকে ধর্ষিতার পিতা ও তার পরিবার ধর্ষকের কঠিন শাস্তির দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের নিকট৷

শ্নাশান ঘাটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লাশ দাহ করতে বাধা প্রদান সহ হুমকির অভিযোগ

শ্নাশান ঘাটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লাশ দাহ করতে বাধা প্রদান সহ হুমকির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘল বাক ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে একদল প্রভাবশালী ভূমি খেকোদের কান্ড! জানাযায়, উপজেলার বহরমপুর গ্রামের ওই ভূমি খেকো চক্র কর্তৃক সরকারী খাস খতিয়ানের কয়েক একর ভূমি বছরের পর বছর ধরে জোরপূর্বক জবরদখল করে এলাকায় যেন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে৷ শুধু তাই নয় এই চক্র কর্তৃক  সনাতন ধর্মাবলম্বীয়দের শত বছরের পুরনো শ্মশানঘাট,যেখানে হিন্দুরা মারা গেলে দাহ্ করা হয় সেই স্থানও জোরপূর্বক দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে, এরই ধারাবাহিকতায় শ্নাশানঘাট থেকে মাটি কেটে নিয়ে গেছে তারা৷ এ বিষয়ে  বহরমপুর গ্রামের পঞ্চায়েত পক্ষের অজয় সূত্রধর ও ডা: স্বপন সূত্রধর বলেন  গত ২২ জানুয়ারি তাদের গ্রামের দীগেন্দ্র সূত্রধরের স্ত্রী ছাওমনি সূত্রধর দুপুরে মারা যান,তাকে যখন শেষ কৃত্ব দাহ্ করতে বেলা ৩ টায় সেখানে নিয়ে যান, তাৎক্ষণিক সময়ে দাহ্ করতে বাধা প্রদান করেন ভূমি খেকো চক্রের প্রভাবশালী ইউনুস মিয়া,মিছিল মিয়া,সামাদ মিয়া দুলাল মিয়া,মুকিত,মোজাহিদ সহ তাদের পক্ষের লোকজন৷ 

,এসময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে, একপর্যায়ে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত  ইনচার্জ আবু বক্কর, এস,আই ফয়জুল হক ফজলু সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশের উপস্থিতিতেই রাত ১০টায়  লাশ দাহ্ করা হয়৷ এর পরথেকে গ্রামে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে, যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী৷ এছাড়াও উল্লেখিত সরকারী ভূমি নিয়ে ইতিপূর্বে চরম হট্টগোল ও বিরোধ দেখা দিলে সম্প্রতি প্রশাসন কর্তৃক  ভূমি খেকোদের উচ্ছেদ করে দেয়া হয়, তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই পূণরায় জবরদখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে ভূমি খেকোরা৷  এই বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে সচেতন মহল কর্তৃক প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন৷

বানিয়াচংয়ের মকা গ্রামের  আলোচিত ত্র্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামী অবশেষে শ্রীঘরে

বানিয়াচংয়ের মকা গ্রামের আলোচিত ত্র্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামী অবশেষে শ্রীঘরে

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার  কাগাপাশা ইউনিয়নের মকা গ্রামের শফিকুল বাহিনীর প্রধান ও ক্রাইম জোনের গড ফাদার ত্র্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামী শফিকুল আলম চৌধুরী ওরফে শফিক ( ৫১) অবশেষে শ্রীঘরে৷ তার পিতার নাম মৃত আব্দুল আলীম৷ 

তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে৷  

জানাযায়, ২০১৮ সালে একই গ্রামের বিল পাহাড়াদার ৫ সন্তানের জনক আকবর হোসেন চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামী শফিকুল চৌধুরী  ৩১ জানুয়ারী হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালত ক,গ ৪ বানিয়াচং এর  বিজ্ঞ বিচারক জনাব ফখরুল ইসলামের আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন৷ এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রযেছে মকা গ্রামের সাহাদ হত্যা মামলা ও মহিবুর চৌধুরী হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা মোকদ্দমা৷ সে ও তার বাহিনী খুন খারাবি সহ এমন কোনো সন্ত্রাসী কাজ  নেই তারা তাদের বাহিনী দ্বারা করতে পারেনা৷ তাদের দ্বারা সব কিছুই সম্ভব৷ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো লোক এলাকায় নেই৷ এযেন মুকুটহীন সম্রাটের অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেছেন এই শফিকুল ও তার বাহিনী৷ 

এদিকে হত্যা মামলাে প্রধান  আসামিকে হাজতবাসে প্রেরণ করায বিজ্ঞ আদালত ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাদী, অনেকদিন পরে হলেও মূল অপরাধী আটক হয়েছে। এটা দেখে মানুষ শিক্ষা পাবে, অপরাধ করে পার পাওয়া যায় না। এর সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের সবারই ফাঁসি দাবী করেছেন নিহতের পরিবার গুলো

নবীগঞ্জের ইমাম বাড়ী জনকল্যাণ সংগঠন এর উদ্যোগে গরীব অসহায় দুঃস্থ শীতার্তদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরন

নবীগঞ্জের ইমাম বাড়ী জনকল্যাণ সংগঠন এর উদ্যোগে গরীব অসহায় দুঃস্থ শীতার্তদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরন

১৯ জানুয়ারী  বৃহস্পতিবার  বিকাল ৪ ঘটিকায় "জনকল্যাণ সংগঠন" ইমাম বাড়ী আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে শেখ মোস্তফা কামাল মার্কেটের কুসুম ক্লথ ষ্টোর এর সামনে গরীব অসহায় দুঃস্থ শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরন ও আলোচনা সভা উনুষ্টিত হয়৷ 

 মোঃ সমশের উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোঃ কতুব উদ্দিন শরিফ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজ সেবক দানবীর শেখ মোস্তফা কামাল (আবু তালিব), প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,এই শীতকালীন সময়ে 

কনকনে  ও তীব্র শীতে  দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে  বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং মানুষের অসহায়ত্বকে প্রকট করে তোলে। তাই শীতার্ত হতদরিদ্র মানুষের প্রতি সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তশালী ব্যক্তিদের সাহায্য ও সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র বিতরণ করে তাদের পাশে এসে দাঁড়ানো দরকার। তিনি আরো বলেন,  নিঃস্বার্থভাবে শীতার্ত মানুষকে  সাহায্য ও সেবা করাই মানবতার সেবা। এমন মহৎ ও পুণ্যময় কাজই সর্বোত্তম ইবাদত বলে আমি মনে করি।

এতে বিশেষ অতিথি  ছিলেন হাজী লুৎফুর রহমান সুফি মিয়া, অন্যান্যের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন কালিয়ারভাঙা ইউপি ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আকবর আলী, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ সফি মিয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আব্দুল্লাহ মিয়া, বদরুজ্জামান চৌধুরী স্বাধীন, ডাঃ খাইরুল আমিন, মোঃ জিহাদ খান, মোঃ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, রাছেল খান, মতিন মিয়া চৌধুরী, শেখ মইনুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, জসিম উদ্দিন, বাবু গোপাল রায়, শেখ মোজাহিদ মিয়া, আজহার আলী, রোকন চৌধুরী, রফিকুল তালুকদার, মাছুম মিয়া, সবজুল মিয়া, রিয়াদ পাটান, সোহাগ খান, হুমায়ুন মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, এচাড়া আরো উপস্তিত ছিলেন  এলাকার  অনেক গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ৷

আজমিরীগঞ্জে আগুনে পুড়ে  এক যুবকের মৃত্যু

আজমিরীগঞ্জে আগুনে পুড়ে এক যুবকের মৃত্যু

মোঃ মোজাহিদ মিয়া: হবিগঞ্জ জেলার  আজমিরীগঞ্জ উপজেলায়  গভীর রাতে আগুনে পুড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়ন-এর অন্তর্গ ত  ঘরদাইর গ্রামের  ১নং ওয়ার্ড  নিবাসী বড় হাটির আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার  ঘরে।  গত ১৭ই জানুয়ারি রোজ মঙ্গলবার  গভীর রাত প্রায় ৩ ঘটিকার সময়  আগুন  লাগে ঐ ঘরে। এতে ঘরের মধ্যে ঘুমে থাকা অবস্থায় আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার ছেলে  জাবেদ মিয়া (৩০)নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।


স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, জাবেদ  মিয়া একজন মানসিক রোগী ছিল। মানসিক রোগী হওয়ার কারণে তার দুই বিবাহিতা স্ত্রী তার সাথে ঘর সংসার করে নি। জাবেদ ধুমপান বেশি করত। তাই স্থানীয়দের ধারণ ধুমপান থেকে  আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ঘরের মধ্যে জাবেদ একাই ঘুমে ছিল। মা-বাবা অন্যত্র মামার বাড়ি থাকে। এই নিয়ে  মৃত জাবেদের বাবা কদ্দুছ মিয়ার সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি জানান, আমার ছেলে  মানুষিক রোগী । তাহার মৃত্যুর জন্য  কাউকে দায়ী করছি না।

নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের  নতুন কমিটির  দায়িত্ব গ্রহন

নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহন

নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের ২০২৩ সালের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে ২০২২ সালের বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক।  গতকাল সন্ধ্যায়  শহরের একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।আয়োজিত অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী সভাপতি মোঃ রাকিল হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। সাধারন সম্পাদক মুহিবুর রহমান চৌধুরী তছনুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ,নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ,হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক  সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান,ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নোমান আহমদ, বিজয়ের প্রতিধ্বনির পত্রিকার সম্পাদক আনিসুজ্জামান চৌধুরী রতন, গ্লোবাল টিভির এম,এ আজিজ সেলিম,টিএইচও প্রতিনিধি ডাঃ রকিবুল ইসলাম প্রমূখ। 

 স্বাগত বক্তব্য দেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল জাহান চৌধুরী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিদায়ী কমটির সভাপতি রাকিল হোসেন ও  সাধারন সম্পাদক মহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু আনুষ্টানিক ভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন নতুন কমিটির সভাপতি এম এ আহমদ আজাদ ও  সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়ার নিকট। এসময় উপস্থিত ছিলেন 

নব নির্বাচিত নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এ আহমদ আজাদ, সহ সভাপতি এম মুজিবুর রহমান,

সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, যুন্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাভেদ মিয়া,কোষাধ্যক্ষ মোজাহিদ আলম চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য, এটিএম সালাম, মুরাদ আহমদ, অলিউর রহমান, শাহ সুলতান আহমদ,এম এ মুহিত, বিদায়ী কমিটির সভাপতি রাকিল হোসেন,বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু,সাবেক সভাপতি ফখরুল আহসান চৌধুরী,,সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম, এ বাছিত,

 সাবেক সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল, সাবেক সভাপতি মোঃ সরওয়ার শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সলিল বরন দাশ, সাবেক অফিস সম্পাদক আকিকুর রহমান সেলিম,  সাবেক যুন্ম সম্পাদক তোহিদ চৌধুরী, বাংলা ট্রিভিউন প্রতিনিধি ছনি চৌধুরী,মানব কণ্ঠের মহিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান চৌধুরী শামীম, , সাংবাদিক ফুয়াদ হাসান রাজন, অঞ্জন রায়,হাসান চৌধুরী,  মোঃ আলাল মিয়া, মোফাজ্জল হোসেন সজীব, ইকবাল হোসেন তালুকদার, মোঃ সাগর মিয়া,বদরুল ইসলাম,সংবাদ পত্র  এজেন্ট মুশাহীদ আলী ও মিয়াধন মিয়া প্রমুখ।  সভায় নব নির্বাচিত কমিটির সকল সদস্যকে পরিচয় করে দেন নির্বাচনের সম্বনয়কারী হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান।

উল্লেখ্য,সমঝোতার ভিত্তিতে ২০২৩ সালে সভাপতি এম এ আহমদ আজাদ,সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া এবং ২০২৪ সালের জন্য সভাপতি এম এ বাছিত, সাধারণ সম্পাদক সলিল বরন দাশকে নির্বাচিত করে পৃথক দুটো নির্বাহি কমিটি গঠিত হয়

নবীগঞ্জের স্বস্থিপুরে সন্ত্রাসী হামলায় কৃষক কাচা মিয়া ও গৃহবধূ সহ আহত ৩ জন

নবীগঞ্জের স্বস্থিপুরে সন্ত্রাসী হামলায় কৃষক কাচা মিয়া ও গৃহবধূ সহ আহত ৩ জন

নবীগঞ্জের দীঘলবাক ইউনিয়নের স্বস্থিপুর গ্রামে শত বছরের পুরনো রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় কৃষক কাচা মিয়া ( ৪০) ও গৃহবধূ সহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন৷ গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে  আশংকাজনক অবস্থায় কাচা মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়৷
অপর আহত গৃহবধূ শিরিয়া বেগম (৩৫) ও গফুর মিয়া (৫০)কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে৷ জানাযায়, উপজেলার ঐ গ্রামের আহত কাচা মিয়া গংদের সাথে জনসাধারণ চলাচলের একমাত্র রাস্তা নিয়ে একই গ্রামের মৃত ছিদ্দেক আলীর পুত্র সহিদ মিয়া,নুর ইসলাম মিয়া গংদের সাথে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল৷ এরই জেরধরে ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর অনুমান ১২টায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সহিদ মিয়ার পুত্র রাসেল মিয়া শামীম মিয়া সহ একদল লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহকারে সন্ত্রাসী হামলা চালায় কৃষক কাচা মিয়াকে, তাকে বাঁচাতে গিয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ও গুরুতর আহত হন৷ এ ঘটনায় গ্রামে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোনো সময় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা৷

স্বেচ্ছাচারিতা এবং অশোভন আচরণের অভিযোগ করেছেন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ

স্বেচ্ছাচারিতা এবং অশোভন আচরণের অভিযোগ করেছেন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের স্বস্থিপুর গ্রামে অবস্থিত  এমপিও ভুক্ত মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় চরম হট্টগোল সৃষ্টি করে সভা ভন্ডুল করে দিয়েছেন সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা মতিউর রহমান চৌধুরী অভিযোগ শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দের৷ ঘটনাটি ঘটেছে ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার  সকাল ১১ঘটিকায়৷ 


শুধু তাই নয় অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ আরো অভিযোগ করে বলেন, মতিউর রহমান চৌধুরী'র স্বেচ্ছাচারিতা এবং অশোভন আচরণের ফলে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক/ শিক্ষিকা, ছাত্র,অভিভাবক সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে৷ 

সরেজমিনে ঘুরে জানাযায়, অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের

৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ অনুমোদন নিয়ে উল্লেখিত সময়ে বিদ্যালয়  কর্তৃক আয়োজিত প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালীন সময়ে  উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি মতিউর রহমান চৌধুরী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আঃ কাদির,জবর আলী,গৌরাঙ্গ সরকার,সুজাত মিয়া,হেনা বেগম,আবিদা বেগম ও জাহিদুল হক সহ অারো অনেক অভিভাবক বৃন্দ৷ এসময় প্রতিষ্ঠানে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ অনুমোদনের জন্য সর্বসম্মতি হলে, সভাপতি মতিউর রহমান তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের জন্য সুপারিশ করে  কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মনোনীত না হওয়ার কারনে উক্ত কর্মচারী নিয়োগ অনুমোদনের বিরোধিতা করে স্বেচ্ছাচারিতা ও সভায় উপস্থিত সবার সাথে অশোভন আচরণ করে চরম হট্টগোল করে সভা ভন্ডুল করে দেন৷ এতে উপস্থিত সবার মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করে৷ এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক   মোছাঃ আছমা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মিটিয়ে উপস্থিত সবাই একমত পোষণ করলেও সভাপতি তিনি বিরোধিতা করে হট্টগোল সৃষ্টি করেন এবং নানা হুমকি ধামকি দিয়ে মিটিং ভন্ডুল করে দেন৷ তিনি আরো বলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে তাদের অফিস সহায়ক বিশখা  সরকার একজন অফিস সহায়ক হিসেবে বৈধভাবে কর্মরত কিন্তু বিগত ৪ বছর ধরে সভাপতি মতিউর রহমান চৌধুরী তার বেতন /ভাতা আটকিয়ে রেখেছেন, তিনি স্বাক্ষর না করায় বিশখা সরকার বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারছেননা৷ 

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করা হলে তার উপরে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সংবাদ কর্মীকেও দেখে নেবার  হুমকি দেন৷ 

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সুজাত মিয়া ও জবর আলী সহ আরো অনেকেই বলেন মতিউর রহমান চৌধুরী সাহেবের কারনে আজ একটি প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম হচ্ছে এবং একজন অসহায় মহিলা অফিস সহায়ক বিশখা সরকার তার ন্যয্য বেতন ভাতা থেকে বিগত ৪ বছর থেকে বঞ্চিত,সে এনিযে ২৯/১০/২০২০ ইং তারিখে  জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করলেও সুরাহা হয়নি,এতেও ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন মতিউর রহমান  ৷ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল

নবীগঞ্জের  ফয়েজ অপহরণের ২ মাস পর আসামী  সামছুল হক কারাগারে

নবীগঞ্জের ফয়েজ অপহরণের ২ মাস পর আসামী সামছুল হক কারাগারে

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ফয়েজ আহমদ নামের এক ব্যবসায়ী যুবক অপহরণের ২ মাস পর অন্যতম আসামী  সামছুল হক কারাগারে। এদিকে ফয়েজকে  অপহরণকারী তার  বন্ধু জাকির গা ঢাকা দেওয়ায় ২ মাসেও উদ্ধার না হয়নি ফয়েজ৷ তার  পরিবারে চলছে অজানা আতংক৷  তার সঙ্গীয় বন্ধু প্রধান আসামী জাকির সহ অন্যান্য আসামীরা দীর্ঘদিন  পলাতক থাকার পর অবশেষে গত ২৮ নভেম্বর  সোমবার মামলার ২নং আসামী বানিয়াচং থানার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত মজর উল্লার পুত্র সামছুল হক (৩২), বিজ্ঞ  জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালত  বাহুবল হবিগঞ্জে স্বেচ্ছায় হাজিরা দিলে বিজ্ঞ বিচারক জনাব আব্দুল হালিম, আসামীর জামিন আবেদন  না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন৷ 
ফয়েজ আহমেদ অপহরণ মামলার আসামী  ফয়েজের বন্ধু জাকির হোসেন সহ অন্যান্যরা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন৷ 
উল্লেখ্যঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী  মোঃ ফয়েজ আহমদ (২৩) নামের যুবককে তারই বন্ধু একই এলাকার  বাদে রায়ঘর গ্রামের আতা মিয়ার ছেলে,  জাকির হোসেন (২৫)  গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ী থেকে মার্কুলি বাজারে আসামী জাকির হোসেন এর বোনের বাড়ী বিয়ের অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবার কথা বলে  নিয়ে যায়। এর পর থেকেই ফয়েজ আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তার  বন্ধু জাকির  মাঝেমধ্যে মোবাইল ফোনে কথা বলে আবার ফোন বন্ধ করে নানা অজুহাত দেখিয়ে  গা ঢাকা দেয়৷ এদিকে অপহৃত ফয়েজের মাতা খাদেজা বেগম তার ছেলে উদ্ধারের জন্য গত ২৪ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে 
হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগ-৫ আদালতে ফয়েজের বন্ধু জাকির সহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে গং ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে এফ,আই,আর৷ গন্যে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে৷ মামলার  আসামীরা হলেন, ফয়েজ আহমেদের বন্ধু ১। জাকির হোসেন (২৮), পিতা- আতাউর রহমান, সাং- বাদে রায়ঘর, উপজেলা- নবীগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ। ২। সামছুল হক (৪২), পিতা- মৃত মজর উল্লা, সাং- নোয়াগাঁও, উপজেলা- বানিয়াচং, জেলা- হবিগঞ্জ। ৩। নিকেশ বৈষ্ণব, পিতা- জগিন্দ্র  বৈষ্ণব, সাং- কবিরপুর, উপজেলা- বানিয়াচং, জেলা- হবিগঞ্জ। ও নিখোঁজ ফয়েজের মুক্তিপণ দাবী করে ৪০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া অপহরণকারী যুবক  দিনাজপুর জেলার বিরল থানার আকড় গ্রামের সাইদুর রহমানের পুত্র মোঃ সুমন রানা( ৩৫) সহ গং  ৩/৪ জনের  বিরুদ্ধে৷ এদিকে মামলার এজাহারে ও অপহৃত ফয়েজের মাতা খাদেজা বেগম বলেন তার ছেলেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান সাড়ে ৮টায়  জাকিরের আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবার কথা বলে তার ছেলে ফয়েজের বন্ধু জাকির তাকে মার্কুলি নিয়ে অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় তার ছেলেকে অপহরণ, অথবা  ঘুম হত্যা করেছে৷ এর পর থেকেই জাকির গা ঢাকা দেয়ার পূর্বে 
জাকিরের দেয়া তথ্যমতে মারকুলিতে পৌঁছে  ফয়েজের বড় ভাই কয়েছ আলী ইমন সহ তার আত্মীয় স্বজনেরা ফয়েজের সন্ধানে সেখানে গেলে এক জোড়া৷ জুতা  ও মোটর সাইকেল উদ্ধার করেন বানিয়াচং থানা পুলিশের সহযোগিতায়৷ 

এদিকে  জাকিরের  ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ও লুকোচুরি খেলায় ফয়েজের পরিবার সন্দেহ করছেন টাকা অথবা অদৃশ্য  কোনো কারণে ফয়েজকে  জাকির ও তার লোকজনের   সহযোগিতায় অপহরণ করে গুম হত্যা  করতে পারে  দুষ্কৃতিকারীরা৷  এদিকে নবীগঞ্জ থানায়  ফয়েজের ভাই কয়েছ আলী ইমন একটি জিডি করেন তাৎক্ষণিক সময়ে৷ এঘটনায় অনেক জল্পনা কল্পনা ও অজানা আতংকের একপর্যায়ে গত ২৪ অক্টোবর নিখোঁজ ফয়েজ আহমেদ (২৩) এর মাতা ও জিয়াপুর গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার স্ত্রী খাদেজা বেগম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত- কগ- ৫, মামলা দায়ের করলে 
 নবীগঞ্জ থানার রেকর্ডকৃত মামলা নং ১৩,তাং ২৯/১০/২০২২ ইং৷ উক্ত মামলাটি নবীগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করে আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং নিখোঁজ ফয়েজ আহমেদকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই গৌতম সরকার৷ 
ফয়েজের ভাই,কয়েছ আলী ইমন ও তার মামা সাহিদ আলী বলেন, ফয়েজ  নিখোঁজের পর থেকে তাদের পরিবার/পরিজন  তার তার গর্ভধারিনী  মা'সহ পরিবারের সবারই আহার নিদ্রা নেই,সবাই নিখোঁজ ফয়েজের জন্য অজানা আতংকে দিনাতিপাত করছেন৷ তাই নিখোঁজ ফয়েজের বন্ধু জাকির সহ  অন্যান্য পলাতক আসামীদের  গ্রেফতার করলে এবং সামছুল হককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ  ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হবে এবং ফয়েজের সন্ধান অথবা তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে তারা আশাবাদী৷ 
এ ব্যাপারে প্রশানের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তার পরিবার